শুরুতে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া, এরপর বোলারদের লড়াই এবং জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৫ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেনের দল।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের তোপে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানেই থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
লক্ষ্য ছিলো জেতার মতোই। জয়ের কাছেও এসে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ১৪ রান। বল হাতে পেলেন সাকিব। প্রথম বলে তানজীদের ক্যাচ মিড। তৃতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে সাকিবকে ছক্কা হাঁকান মুজারাবানি। সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৭।
চতুর্থ বলে আবারও এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার মুজারাবানি! পরের বলে এনগারাভা এসে বোল্ড! ঘূর্ণিজাদুতে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতে ধুঁকতে থাকে। পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রান তুলতে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও রানের চাকা ছিল সচল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের বন্দরে দলকে পৌঁছাতে পারেননি ব্যাটাররা।
মাত্র ৮ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ওয়েলিটনন মাসাকাদজা। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন জনাথন ক্যাম্পবেল। এ ছাড়া রায়ান বার্ল ১৯, সিকান্দার রাজা ১৭, মারুমানি ১৪ ও ফারাজ আকরাম ৮ রান করেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি ব্রায়ান বেনেট।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব। সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরাও হয়েছেন ফিজ।
এর আগে বাংলাদেশ দারুণ শুরু করেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। ১১ ওভারে ১০০ রানের পরের ৪৩ রান করতে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথমবার পাওয়ার প্লেতে পঞ্চাশ পার হয়। কোনো উইকেট না হারিয়ে আসে ৫৭।
ওপেনার তানজীদের বিদায়ের ছন্দপতনের শুরু। বিশেষ করে ১২১ রানে তাওহীদ হৃদয়ের (১২) বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ এলোমেলো হয়ে যায়। এরপর ৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন শান্ত (২), সাকিব আল হাসান (১) ও জাকের আলী অনিকের (৭) উইকেট হারায়।
অনিকের আউটের পর স্বীকৃত কোনো ব্যাটার ছিল না। রিশাদ হোসেনও আজ পারেননি। ২ রানে ফেরেন তিনি। তাসকিন আহমেদ হন রান আউট।
তানজীদ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পান। মাত্র ৩৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ফিফটি করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে আউট হন। তার আউটের ৭ রানের মধ্যে সৌম্যও ফেরেন সাজঘরে ফেরেন। ৩৪ বলে ৪১ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন লুক জংওয়ে। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগ্রাভা ও ব্রায়ান বেনেট।