ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ট্রুডোর উত্তরসূরির নাম ঘোষণা ৯ মার্চ

দলীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাদের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে তাদের মনোনয়ন দাখিল করতে হবে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
ট্রুডোর উত্তরসূরির নাম ঘোষণা ৯ মার্চ লিবারেল দলের নেতৃত্বের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ও মার্ক কার্নি।

কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী ৯ মার্চ। মন্ট্রিয়েল থেকে এএফপি জানায়, লিবারেল পার্টি বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘৯ মার্চ দেশব্যাপী নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোট শেষ হবে এবং সেদিনই নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে।’


প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর দলের ভেতরে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সোমবার দলকে নতুন নেতার অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


লিবারেল পার্টির সভাপতি সচিত মেহরা বলেন, ‘একটি দৃঢ় ও সুরক্ষিত জাতীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিবারেল পার্টি ৯ মার্চ নতুন নেতা নির্বাচন করবে এবং ২০২৫ সালের নির্বাচন জয়ের জন্য প্রস্তুত হবে। এটি আমাদের দলের এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য সারা দেশের লিবারেলদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। সবাইকে এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’


বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দলীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাদের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে তাদের মনোনয়ন দাখিল করতে হবে এবং  ৩৫০,০০০ কানাডিয়ান ডলার (২,৪৩,০০০ মার্কিন ডলার) ফি প্রদান করতে হবে।


তবে নতুন নেতা নির্বাচন করলেও লিবারেল পার্টির ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। জরিপ অনুযায়ী ট্রুডোর দল প্রধান বিরোধী কনজারভেটিভ দলের চেয়ে ২০ পয়েন্টেরও বেশি পিছিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে আছেন কঠোর মনোভাবাপন্ন ডানপন্থি নেতা পিয়েরে পলিয়েভ। ২০২৪ সালে ক্রমবর্ধমান হারে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে জনগণের কঠিন সমালোচনার মুখে ট্রুডোর প্রতি লিবারেল দলের সমর্থন কমে আসতে শুরু করে। 


পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রুডো সংসদ ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। লিবারেল দল আশঙ্কা করছে, তাদের সংখ্যালঘু সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হতে পারে। লিবারেল দলের নেতৃত্ব প্রত্যাশী প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ও মার্ক কার্নি। ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ট্রুডো সরকারের তধা লিবারেল পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। গত ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। মার্ক কার্নি কানাডা ও ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন।


সূত্র: এএফপি


এসজেড