ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘সাজা’ মাথায় নিয়েই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প

রায় ঘোষণার সময় ফ্লোরিডায় নিজ বাসস্থান মার-এ-লাগো থেকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ট্রাম্প।
  • | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
‘সাজা’ মাথায় নিয়েই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প

অবশেষে মার্কিন ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়, দেশটির ইতিহাসের প্রথম সাজাপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১০ জানুয়ারি পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার মামলায় নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাজা শুনিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ওয়াশিংটন থেকে স্কাই নিউজের প্রতিবেদন।

 

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাগজে কলমে সাজা পেলেও আইনি হিসেবে তাকে ‘ব্যতিক্রমী সাজা’ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা নয়; বরং ‘নিঃশর্ত মুক্তির’ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক। ২০ জানুয়ারি দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি একজন দণ্ডিত অপরাধী।


২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে আইনজীবীর মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে বিষয়টি অস্বীকার করলেও নিজের পক্ষে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। ফলে গত বছরের মে মাসে নিউইয়র্কের অপরাধ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এবার সেই মামলায় ট্রাম্পকে ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত।


প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার ১০ দিন আগে গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ইতিহাসের বিরল রায় ঘোষণা করেন বিচারক হুয়ান মার্চান। মামলায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্পকে দণ্ড দেয়া হলেও তাকে কোনো জেল-জরিমানা করা হয়নি। বরং মামলা থেকে শর্তহীন মুক্তি দেয়া হয়েছে। ‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে আজ এই কথা বলা হয়েছে।


চূড়ান্ত রায় ঘোষণার সময় ফ্লোরিডায় নিজ বাসস্থান মার-এ-লাগো থেকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ট্রাম্প। শর্তহীন মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি এই অভিজ্ঞতাকে ভয়াবহ উল্লেখ করে বলেন, এটি নিউইয়র্কের বিচার ব্যবস্থার জন্য বড় একটি ধাক্কা। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সুনামক্ষুণ্ন করে নির্বাচনে পরাজিত করতেই তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।


দণ্ড ঘোষণার সময় বিচারক মার্চান বলেছেন, ‘এটি একটি অনন্য ও ব্যতিক্রমী ঘটনা। আদালতকে এর আগে কখনই এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির ওপর হস্তক্ষেপ না করে আইনগতভাবে একমাত্র যে দণ্ড দেয়া যায়, তা হলো শর্তহীন মুক্তি। এই পদক্ষেপে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারকের রায় বহাল থাকবে, তবে তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না।’


আইনজ্ঞরা বলেছেন, পর্ন তারকাকে ঘুষের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আইনে সর্বোচ্চ চার বছর কারাদণ্ডের সাজা হতে পারতো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন মসনদে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এতে দেশটির ইতিহাসে তিনিই হবেন একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি একজন দণ্ডিত অপরাধী। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। 


সূত্র: স্কাই নিউজ


এসজেড