ফজরের পরের সময়টি অত্যন্ত বরকতময় এবং ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টিকে আল্লাহর স্মরণ এবং সৎকর্মে ব্যয় করা মুমিনের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বিভিন্ন আমল সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন, যা ফজরের পর পালন করা উত্তম।
ফজরের নামাজ আদায়ের পর কিছু সময় বসে তাসবিহ, তাহমিদ, তাকবির এবং তাওহিদের যিকির করা সুন্নত। বিশেষত, “সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার” বারবার পাঠ করা এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কুরআন তিলাওয়াত করা ফজরের পরের সময়ের অন্যতম উত্তম আমল। এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াতের বরকত একজন মুমিনের পুরো দিনের কাজে প্রভাব ফেলে। বিশেষত, সূরা ইয়াসিন বা সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করা সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করার পর সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত আল্লাহর স্মরণে বসে থাকে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করে, সে একজন সম্পূর্ণ হজ এবং ওমরাহ আদায়ের সওয়াব পায়। (তিরমিজি: ৫৮৬)
এছাড়াও ফজরের পর নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, দুআ করা এবং দিনটিকে বরকতময় করার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত।
এই সময়ে অলসতা বা অনর্থক কাজে সময় নষ্ট না করে, আল্লাহর স্মরণ ও ইবাদতের মাধ্যমে সময়টি কাটালে তা দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়ের জন্য কল্যাণকর হয়।
thebgbd.com/NIT