অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার প্রশ্ন করার স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে যে কারো সমালোচনা করার সুযোগ রয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে অক্সফামের উদ্যোগে আয়োজিত ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
শফিকুল আলম বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনই সঠিক সময়, কারণ সরকার কখনোই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি এবং করবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে একটি প্রভাবশালী লবিং গ্রুপ আছে, যাদের আমরা এখনও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারিনি। তৈরি পোশাক শিল্পের বাস্তব চিত্র কিংবা পরিবেশবান্ধব ফ্যাক্টরি নিয়ে প্রকৃত প্রশ্নগুলোও আমরা এড়িয়ে গেছি। শফিকুল আলম বলেন, “দেশে ২১৫টি গ্রিন ফ্যাক্টরির কথা শোনা যায়। তবে এগুলো কতটা বাস্তবিক অর্থে পরিবেশবান্ধব, তা যাচাই করা প্রয়োজন। অনেক ফ্যাক্টরি নদীর পাড়ে স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশ রক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এটি কি সত্যিই গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরি হচ্ছে, নাকি কেবল একটি সার্টিফিকেট দিয়েই দাবি তোলা হচ্ছে?”
তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো বড় শিল্পগুলোকে প্রশ্ন করা এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা। কিন্তু কর্মসংস্থান তৈরির ন্যারেটিভের কারণে এই প্রশ্নগুলো অনেক সময় হারিয়ে যায়। এটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের উন্নয়ন আলোচনার কেন্দ্রে রয়ে গেছে।”
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে শক্তিশালী গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।
thebgbd.com/NIT