পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ২ দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ও ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তে ওই দুই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও একই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।
এর আগে গত বুধবার ৮ মে তেঁতুলিয়া উপজেলা রনচন্ডি বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া এলাকার ভারতের ১৭৬/ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান। ঘটনার পর ভারতীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পুলিশ ও বিজিবি জানায়, গত বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলা রনচন্ডি এলাকার খয়খাটপাড়া সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ ওই যুবকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়৷ অন্যদিকে ভারতীয় বিএসএফ ওই যুবকদের লাশ ভারতে নিয়ে যায়৷ জানা যায়, তারা অবৈধভাবে গরু আনতে তারকাটা কেটে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যোগাযোগ করে। দুইজনের মরদেহ শনাক্তসহ মরদেহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার ২ দিন পর মরদেহ দেয় বিজিবি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, বিকেলে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ এসআই আশরাফুল ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ভারতে মরদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ার কারণে আর ময়নাতদন্ত প্রয়োজন হয়নি। দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।