ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সময়মাফিক খাবার না খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

সময়মাফিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • | ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
সময়মাফিক খাবার না খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে খাবারের গুরুত্ব

সময়মাফিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেহ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, এবং এই সময়মাফিক নিয়ম না মেনে চললে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।


প্রথমত, অনিয়মিত খাবার খাওয়ার ফলে পেটের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় না মানলে পাচনতন্ত্র ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং অন্যান্য হজম সমস্যা হতে পারে। খাবার সঠিক সময়ে না খেলে হজম ব্যবস্থার মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, যার ফলে পেটে অস্বস্তি, ব্যথা বা অতিরিক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়।


আরেকটি সমস্যা হলো ওজন বাড়ানো বা কমানো। খাবারের অনিয়মিত সময় থেকে খাদ্য পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, ফলে অস্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ হতে পারে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি, যদি কেউ দীর্ঘ সময় খাবার না খায়, তাহলে শরীর তার শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো যথাযথভাবে শোষণ করতে পারে না, ফলে ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে।


সময়মাফিক খাবার না খেলে মেটাবলিজমও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের অভাব বা সময়মাফিক খাবার না খাওয়ার ফলে মেটাবলিক প্রক্রিয়া স্লো হয়ে যায় এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে সরবরাহ হতে থাকে না, যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।


এছাড়া, খাবার সময়ের অনিয়মের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও অস্বাভাবিক হতে পারে। যদি নিয়মিত খাবার না খাওয়া হয়, তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার অভাব) হতে পারে, যার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ত্বকে শীতলতা, বা অস্থিরতা অনুভূত হতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত খাবারের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।


অবশেষে, সময়মাফিক খাবারের অভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। অনিয়মিত খাবার খাওয়ার কারণে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে, যা মেজাজের ওঠানামা সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থাকলে উদ্বেগ, হতাশা বা মানসিক চাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


সবশেষে, শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এড়াতে খাবার সময় ও পরিমাণের প্রতি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।