কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত মার্চ ফর ফেলানী কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ফেলানী হত্যার বিচারসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ থেকে লং মার্চ শুরু হয়ে ২৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নাগেশ্বরীর ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়।
লং মার্চের সূচনায় সারজিস আলম বলেন, "বাংলাদেশের জনগণকে আর কোনো সীমান্তে লাশ দেখতে হবে না। আজকের মার্চ ফর ফেলানী সীমান্তে শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ। যদি আমাদের কোনো নাগরিকের উপর শকুনের দৃষ্টি পড়ে, তবে তা রুখতে ছাত্র-জনতাই যথেষ্ট।"
লং মার্চ চলাকালে পথসভাগুলোতে স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়া হয়। সারজিস বলেন, "যে কোনো সীমান্ত হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে সাম্যের ভিত্তিতে একটি নতুন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।"
মার্চে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়:
১. ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল হত্যার বিচার।
২. সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ।
৩. কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নাম শহীদ ফেলানীর নামে নামকরণ।
৪. নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল।
৫. কুড়িগ্রামের চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নদী সংস্কার।
লং মার্চে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদের, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এছাড়াও ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, "ছাত্র-জনতার আন্দোলন একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছে। আগামীতে যে কোনো সরকারকে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে, অন্যথায় তাদের পরিণতিও আগের স্বৈরাচার সরকারের মতো হবে।"
লং মার্চটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা করে জনগণকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখে এবং নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
thebgbd.com/NA