ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

আয়াতুল কুরসির ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
আয়াতুল কুরসির ফজিলত সংগৃহীত

এটি কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে তাঁর একত্ব, পরিপূর্ণ ক্ষমতা ও সৃষ্টির ওপর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কোরআনে এমন একটি আয়াত আছে, যা সমস্ত আয়াতের নেতা। যে ঘরে এটি তেলাওয়াত করা হয়, সেখান থেকে শয়তান বের হয়ে যায়। আর সেটি হলো আয়াতুল কুরসি।” (তিরমিজি)


ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যুই একমাত্র বাধা।” (নাসাই)


আয়াতুল কুরসি রাতে ঘুমানোর আগে পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যিনি রাতভর তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করবেন।” (বুখারি)


এটি শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম। হজরত উবাই ইবনে কা‘ব (রা.) থেকে বর্ণিত, শয়তান স্বীকার করেছিল যে, আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করলে তারা মানুষকে ক্ষতি করতে পারে না। (বুখারি)


এ ছাড়া আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করলে আল্লাহর সুরক্ষা, রহমত এবং বরকত লাভ হয়। এটি পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়।




thebgbd.com/AR