গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মি মুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় শুক্রবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ক্ষমতাসীন জোট বিরোধীতা না করলেও মন্ত্রিসভার অন্তত দুই সদস্য যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ১৯ জানুয়ারি রোববার থেকে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আত্মবিশ্বাসী। তবে রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে হলে সেটি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেতে হবে। এতে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, পরে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা জুড়ে প্রায় ৫০টি স্থাপনায় আঘাত হানার কথা জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার হামাসের ওপর শেষ মুহূর্তের ছাড় আদায়ের জন্য চুক্তির মূল অংশগুলো লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে, তবে এই অভিযোগ হামাস অস্বীকার করেছে।
এরপর শুক্রবার ভোরে তার অফিস জানায়, ‘জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে একটি চুক্তি’ সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি দিনের শেষের দিকে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আরো বলা হয়, ‘সরকার বৈঠকে চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য আলোচনা করবে।’
কট্টর-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ চুক্তিটি অনুমোদন করলে তিনি ও তার দলের সহকর্মীরা সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন।’ এবং আরেক কট্টর-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ চুক্তিটিকে ‘বিপজ্জনক চুক্তি’ অভিহিত করে যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করেছেন।
তবে কয়েক মাস ধরে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নির্ধারিত সময়েই এগিয়ে যাবে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী, পুরোপুরি আশা করছি রোববার থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে, যেমনটি আমরা বলেছি।’
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার চুক্তি ঘোষণার পর ইসরাইল ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের বেশ ক’টি এলাকায় বোমা হামলা চালালে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং শত শত আহত হয়েছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা, এজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড সতর্ক করে দিয়েছে ইসরায়েলি হামলা চুক্তির অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে এবং তাদের ‘মুক্তি ট্রাজেডিতে পরিণত হতে পারে।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড
