সন্ধ্যার আগেই দুই দেশের নাগরিকেরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
উত্তেজনার মাঝেও বিকেল সাড়ে ৪টায় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে গাছ কাটার বিষয়ে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, "আমরাও ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক রয়েছি। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। এলাকাবাসীও বিজিবির পাশে রয়েছে।"
শনিবার চৌকা সীমান্তে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সকালে ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশ অংশে এসে গাছ কাটতে শুরু করলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে উভয় দেশের নাগরিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে শূন্যরেখার কাছাকাছি জড়ো হয়। একপর্যায়ে শূন্যরেখায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়।
চৌকা এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী, মারুফুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় নাগরিকেরা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সীমান্তে উপস্থিত হয়। তারা সঙ্গে ককটেল এবং বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে। বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে তারা অন্তত অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন আহত হন।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে টানা চার দিন উত্তেজনা চলেছিল। শেষ পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ না করেই বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়। দুই দেশের বাহিনীর একাধিক বৈঠকের পর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল, তখনই নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
thebgbd.com/AR