পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে একটি শক্তিশালী সৌরঝড়। এর ফলে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সংস্থা স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (এনওএএ) জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সৌরঝড়টি পৃথিবীতে আঘাত হানে।
সংস্থাটির পরিচালক ক্লিনটন ওয়ালেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এটি একটি অস্বাভাবিক এবং সম্ভাব্য ঐতিহাসিক ঘটনা।
এদিকে সৌরঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশের আকাশে অরোরা বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌর চক্র অতিক্রম করছে জানিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, আর এ কারণেই করোনাল ম্যাস ইজেকশন এবং সৌর শিখা ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গেলো দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়।
এর আগে ২০০৩ সালে, এমনই একটি সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল। সে সময় সুইডেনে বৈদ্যুতিক ব্ল্যাকআউটের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এবারের ঝড়ে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করে ঠিক সেই সময় এক রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। তার সঙ্গে তীব্র শক্তি নির্গত হয়, যা পৃথিবীসহ গোটা সৌরজগতে ছড়িয়ে পড়ে।
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সংস্পর্শে এলে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটে মেরুজ্যোতির আকার ধারণ করে।