মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বাস প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে সোমবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় পশ্চিম তীরে পৌঁছায়। অপেক্ষামান স্বজনদের ভীড়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ভীড় এড়িয়ে যখন দুটি বাস পশ্চিম তীরে পৌঁছে তখন বাসের দরজা খোলার সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে মহিলারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। এই সময় জনতা স্লোগান দিয়ে, পতাকা নেড়ে বাসের ওপরে উঠে যায়।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বুশরা আল-তাউইলকে ২০২৪ সালের মার্চে ইসরায়েলে সেনারা আটক করে কারাগারে পাঠায়। প্রথম দফায় মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে তিনিও আছেন। বুশরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এএফপি’কে বলেছেন, ‘ছিনতাইয়ের অভিযোগে আমাকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।’
আগামী ৪২ দিনে আরো ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১ হাজার ৯শ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি তিন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে সাংবাদিক বুশরাসহ ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
এদিকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের ভীড়ের মধ্যে অনেকে আবার ইসরাইলের ‘ওফার’ কারগারটি একনজর দেখার জন্য ভীড় জমায়। রামাল্লার কাছের শহর থেকে আমান্ডা আবু শার্খ (২৩) এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা এখানে কারাগারটি দেখতে এসেছি, যেখানে আমাদের স্বজনদের দীর্ঘকাল বন্দি করে রাখা হয়েছে। মুক্তি পাওয়া সব বন্দিকে আমার পরিবারের সদস্য মনে হচ্ছে। তারা রক্তের সম্পর্কের না হলেও তাদের দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না।’ তিনি বলেন, কারাগারের অনেক লোককে চিনি।
সূত্র: এএফপি
এসজেড