ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইলিশ মাছের পাতুরির রন্ধন প্রণালী

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ, তবে একেবারে শীর্ষে জায়গা করে নেয় ইলিশ মাছের পাতুরি।
  • | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
ইলিশ মাছের পাতুরির রন্ধন প্রণালী ইলিশ মাছের পাতুরির

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ, তবে একেবারে শীর্ষে জায়গা করে নেয় ইলিশ মাছের পাতুরি। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। পদ্মার ইলিশ সারা দেশে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের পরিচিতি বহন করে।


ইলিশ মাছের পাতুরি তৈরি করা হয় বিশেষ ধরনের পদ্ধতিতে। প্রথমে তাজা ইলিশ মাছ কেটে পরিষ্কার করা হয় এবং লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়। এরপর পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ ও সরিষা বাটা দিয়ে তৈরি মসলা ইলিশের টুকরোগুলোর ওপর প্রলেপ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মাছের টুকরোগুলো কলাপাতায় মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এই প্যাকেটগুলো এরপর কম আঁচে গরম তাওয়ায় রান্না করা হয়, যাতে মাছের মসলা ভালোভাবে মিশে যায় এবং মাছের স্বাদ অটুট থাকে।


ইলিশ পাতুরির স্বাদ নির্ভর করে মসলার ভারসাম্য এবং ইলিশের মানের ওপর। তাজা ইলিশের সাথে সরিষার তেলের মিশ্রণ এক অসাধারণ সুগন্ধ ও স্বাদ তৈরি করে। এটি সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এবং একবার খেলে এর স্বাদ ভোলা কঠিন।


বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে ইলিশের পাতুরি খাওয়ার প্রচলন থাকলেও বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে এটি বিশেষ জনপ্রিয়। বর্ষাকালে যখন ইলিশের মৌসুম থাকে, তখন এ খাবার ঘরে ঘরে তৈরি হয়। বিভিন্ন উৎসব, বিশেষ করে নববর্ষ এবং পারিবারিক জমায়েতে এটি একটি অপরিহার্য পদ।


ইলিশ পাতুরি শুধু খাবার নয়, এটি বাঙালির আবেগের প্রতীক। শত বছর ধরে এটি দেশের খাদ্যসংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে এবং ভবিষ্যতেও এটি একইভাবে জনপ্রিয় থাকবে।