গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর (ডিআরসি) সেনাবাহিনী এবং রুয়ান্ডা-সমর্থিত মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে দুই পক্ষই বেসামরিক এলাকায় বোমা নিক্ষেপ করে যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালেল দেওয়া বিবৃতির বরাত দিয়ে কিনশাসা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে পূর্ব কঙ্গোতে নির্বিচারে রকেট নিক্ষেপের ফলে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়। সাভাবিক ভাবেই ‘ভুল’ অস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং জাতিগত তুতসিদের রক্ষা করার দাবিকারি এম-২৩ মুভমেন্ট উভয় পক্ষই দায়ী।
২০২১ সালের শেষের দিকে এম-২৩ পুনরুত্থানের পর থেকে তিন থেকে চার হাজার রুয়ান্ডার সেনার সহায়তায় ডিআরসি’র খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বের বিশাল অংশ দখল করেছে, যার ফলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ডিআরসির সেনা কিনশাসাপন্থি মিলিশিয়াদের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ করে প্রতিশোধ নিয়েছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে যুদ্ধে, ‘ঘনবসতিপূর্ণ বিস্তৃত এলাকায় দীর্ঘ সময় ১৫০ বারেরও বেশি নিষিদ্ধ বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।’ এই আক্রমণে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং শত শত লোক আহত হয়, যা সাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন এবং খুব সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ।
অ্যামনেস্টি বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) উচিত এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এর তদন্ত করা’ যাতে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা যায়। কারণ কঙ্গোর কর্তৃপক্ষ এটি করতে অনিচ্ছুক। গত বছর আইসিসি জানায়, তারা পুনরায় সংঘাতের তদন্ত শুরু করছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড