২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক প্রায় ১৫শ’রও বেশি মানুষকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার শপথ নেয়ার পরপরই অভিযুক্তদের মুক্ত করার নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ এনে ট্রাম্পের একদল সমর্থক ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভকারীদের ওই হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হন। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
যারা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, কট্রর-ডানপন্থী ‘প্রাউড বয়েজ’ পার্টির সাবেক নেতা এনরিক তাররিও। তাকে ২২ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি সামরিক কায়দায় ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান। দাঙ্গাকারীদের ‘জিম্মি’ হিসেবে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসে এক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন তিনি ১৫শ’রও বেশি ব্যক্তিকে ‘সম্পূর্ণ ক্ষমা’ মঞ্জুর করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আশা করি আজ রাতেই তারা সবাই কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
এদিকে ডেমোক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নেয়। পরে সিনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় ট্রাম্প অভিশংসন থেকে রেহাই পেয়ে যান।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন পুরোটা সময় তার সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসি জেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।ক্যাপিটলে দাঙ্গায় জড়িত দেড় হাজারেরও বেশি সমর্থককে মুক্তি দেয়ার ইঙ্গিত কয়েক মাস আগে থেকেই দেন। সোমবার শপথ নেয়ার পর দেয়া ভাষণে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ওভাল হাউজে পৌঁছেই তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ঘটনায় অভিযুক্তদের সবাইকে ক্ষমা করবেন।
ক্যাপিটল হিল আক্রমণের অভিযোগে কারাবন্দিদের ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তাদের ক্ষমা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই তিনি তা বাস্তবায়ন করলেন। ক্যাপিটলে দাঙ্গার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান প্রসিকিউটর ড্যারেক স্ট্রম বলেছেন, বন্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার রাতের আগেই ওয়াশিংটন ডিসির কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড