ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে চড়া ইলিশের দাম

আড়তদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
মুন্সীগঞ্জে চড়া ইলিশের দাম মিরকাদিমে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ইলিশের দাম।

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বড় ইলিশের দর কেজিতে ঠেকেছে ২৬০০ টাকায়।


মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরের মিরকাদিম হাট। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের মাঝেই ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত পুরো এলাকা। ইলিশ, রুই, কাতল, আইড়, বোয়াল, মৃগেল, কৈ-শিংসহ স্থানীয় খালবিলের হরেক রকম মাছ ওঠে এ বাজারে।


শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) হাটে প্রতিকেজি নদীর পাঙাশ ৮০০-১১০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা, নদীর রুই ৭০০-১২০০ টাকা, চাষের রুই ৩১০-৪০০ টাকা, চাষের কাতল ৩৮০-৫০০ টাকা, নদীর কাতল ৬০০-১২০০ টাকা ও কার্ফু ১৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ৬০০-১৩০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৪০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা, আইড় ৮০০-১৫০০ টাকা, চাষের কৈ ১৭০-২০০ টাকা চাষের শিং ৩৫০-৪৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০-১০০০ টাকা ও পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৪০০ টাকায়।

 

তবে হাটে রুপালি ইলিশের ঝিলিক। বাজারে মাছের রাজা ইলিশ ঘিরে ক্রেতাদের জটলা একটু বেশিই। তবে দাম আকাশছোঁয়া। ২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকায়।

 

মাছের সরবরাহ সত্ত্বেও দাম চড়া হওয়ায় ভোক্তারা দায়ী করছেন সিন্ডিকেট ও মজুতদারকে। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বাজার অস্থির করে তুলছে। এতে ইলিশ খেতে পারছে না সাধারণ মানুষ।

 

আড়তদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, কুয়াশার কারণে মাছ ধরায় ব্যাঘাত ঘটছে। ইলিশের সরবরাহ খুবই কম। ফলে বাড়ছে দাম।

 

জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, নদী বেষ্টিত মুন্সীগঞ্জে প্রতি বছর ৩১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ইলিশ উৎপাদন হয় প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন।

 

শত বছরের প্রাচীন এই হাটের ৪৫টি আড়তে ৪ হাজার মানুষ কাজ করেন। আশপাশের অন্তত ১৫ জেলার মাছ আসে এই হাটে। ধলেশ্বরী তীরের এই হাটে ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।


thebgbd.com/NIT