সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে ভারতের উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে নতুন আইন। নতুন এই আইনে লিভ টুগেদারের জন্য রেজিস্ট্রেশন (যা কিছুটা বিবাহের রেজিস্ট্রেশনের মতো, তবে সম্পূর্ণ আলাদা একটি রেজিস্ট্রেশন) করাতে হবে। নিয়ম না মানলে বা রেজিস্ট্রেশনে কোনও ভুল তথ্য দিলে হতে পারে জেলও। তিন মাসের কারাবাস কিংবা ২৫ হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে। কেউ যদি এই রেজিস্ট্রেশন করাতে এক মাসের বেশি দেরি করেন, তা হলেও শাস্তি পেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিন মাসের জেল কিংবা ১০ হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয়েই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর এনডিটিভির।
নতুন আইন অনুযায়ী বিয়ের মতো প্রায় একই ধাঁচের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে লিভ টুগেদারের জন্যও। লিভ টুগেদারের থাকা জুটি কোনও সন্তানের জন্ম দিলে, তাকে তাদের সন্তান হিসাবে আইনি বৈধতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নতুন আইনে। উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে যাতে ওই সন্তান সমানাধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স থাকবে ২১ বছর, যা আগে থেকেই কার্যকর রয়েছে। নিজ নিজ সম্প্রদায়ের রীতি-রেওয়াজ মেনে বিয়ে করতে পারবেন দম্পতি। তবে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১ বছরের কম বয়সি যুগল লিভ টুগেদারে থাকলে, তাদেরও প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সিদের লিভ টুগেদারের জন্য দুজনেরই মা-বাবার সম্মতির প্রয়োজন হবে। মা-বাবার অনুমতি ছাড়া লিভ টুগেদারের রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন না ২১ বছরের কম বয়সি জুটিরা।
২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতলেই এই আইন কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরেই সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠেন। উত্তরাখণ্ডে আইনটি কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সে রাজ্যের সরকার। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি হয় বিলের খসড়া।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড
