চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরো ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের মধ্যে আরবেল ইয়াহুদও রয়েছে। যার মুক্তি না দেয়াকে কেন্দ্র করে লাখো গাজাবাসীকে উত্তর গাজায় প্রত্যাবর্তন আটকে দেয় ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছয় জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩১ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ফিরতে আর কোনও বাধা দেবে না ইসরায়েল। দোহা থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়।
রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লিখিত ছয় জিম্মির মধ্যে তিনজনকে আগামী বৃহস্পতিবার মুক্তি দেয়া হবে। আর বাকি তিনজনকে মুক্তি দেয়া হবে আগামী শনিবার। ইসরাইল যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন সহ্য করবে না জানিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের সব জীবিত জিম্মি এবং মৃতদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’
এদিকে সোমবার ভোরে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে মুক্তি দেয়া হবে এমন ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোরে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শনিবার হামাস তাদের হাতে জিম্মি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ২শ’ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে এরপর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
ইসরাইল বলছে, হামাসের হাতে জিম্মি আরবেল ইয়াহুদের মুক্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজার বাসিন্দাদের উত্তর দিকে যেতে দেয়া হবে না। ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরই উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শনিবার থেকে লাখো গাজাবাসীর উত্তর গাজায় প্রত্যাবর্তন আটকে দেয় ইসরায়েল।
সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইসরায়েল
এসজেড