প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগসহ (তৃতীয় ধাপ)-সহ সরকারি অন্তত নয়টি নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার উত্তর বিভাগ।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জুয়েল খান, মো. রাসেল, মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল, মো. আব্দুর রহমান, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম ও মো. মাসুম হাওলাদার। তাঁদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সংবলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়েছে।
হারুন জানান, চক্রটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষি অধিদপ্তর, ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। এদের মাধ্যমে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।
ডিবিপ্রধান বলেন, পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে, পকেটে থাকে রাউটার অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাহির থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থী শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলে। চক্রটি বাইরে থেকে উত্তর বলবে আর যাদের কাছে অন্তর্বাস বা গেঞ্জির সঙ্গে ডিভাইস থাকবে, তারা ভেতর থেকে উত্তরগুলো শুনে সঙ্গে সঙ্গে এমসিকিউ দাগিয়ে ফেলবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে ডিবির হারুন বলেন, চাকরিভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিত চক্রটি।