কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যে, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্তবে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য, যার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশও রয়েছে।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়তো অজানা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে—বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যয়ের তুলনায় মার্কিন সহায়তার পরিমাণ খুবই সামান্য।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ERD) থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান ও ঋণের পরিমাণ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক দাতাদের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রধানত বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), জাপান, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে বড় আকারের সহায়তা পেয়ে থাকে।
তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক খাতে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ সামগ্রিক বাজেটের তুলনায় নগণ্য। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বনির্ভরতা ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। সরকার এখন আর বিদেশি অনুদানের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়। দেশের রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং এটি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বাস্তবতা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে উন্নয়নের পথেই এগিয়ে যাবে।
thebgbd.com/NIT