মহাকুম্ভের পদদলিত বিপর্যয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাত্রার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে যোগী প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
অভিষেক বলেন, ‘কখনও বলছে ৩০, কখনও বলছে ৪০ জন। মহাকুম্ভে না হলেও শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা চলছে। বড় বড় উদ্যোগপতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের খাতির করে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। গরিবের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। বিজেপি বিরোধী কোনও রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠানো হতো। অভিষেকের মতে, ‘মহাকুম্ভে এত মানুষ যখন যাবে, তখন মিনিমাম ব্যবস্থাপনা দরকার ছিল। এখানে পরিকল্পনা কম। ব্যবস্থা নেই। শুধু প্রচার।’
১৪৪ বছর পর বিরল ত্রিবেণী যোগ পড়ে মহাকুম্ভে। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে দ্বিতীয় ‘শাহী স্নান’ ছিল ১৮ জানুয়ারি গভীর রাতে। রাত ২টায় সঙ্গমে স্নানে জড়ো হন অসংখ্য পুণ্যার্থী। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৩০ জন। এখনও নিখোঁজ অনেকে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড