ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ফুসফুস, হার্ট, স্নায়ুতন্ত্রে বাজে প্রভাব ফেলে সিগারেট

সিগারেট ছাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এটি ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • | ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ফুসফুস, হার্ট, স্নায়ুতন্ত্রে বাজে প্রভাব ফেলে সিগারেট সিগারেট এর প্রভাব

সিগারেট ছাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এটি ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপানে থাকা নিকোটিন ও অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান ফুসফুস, হার্ট ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


সিগারেট ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, কারণ এটি ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধূমপান করলে ফুসফুসে টার জমে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করে এবং ধীরে ধীরে ক্যানসার বা সিওপিডির (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) দিকে নিয়ে যায়।


হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্যও সিগারেট ছাড়ার বিকল্প নেই। ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।


সিগারেট শুধুমাত্র ধূমপায়ীর জন্য নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য ভয়ানক বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এতে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ ও জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ে।


ত্বক ও সৌন্দর্যের জন্যও সিগারেট অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি ত্বকের কোলাজেন ধ্বংস করে, যার ফলে বয়সের আগেই ত্বকে বলিরেখা পড়ে ও মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। চুল ও দাঁতের জন্যও এটি ক্ষতিকর, কারণ ধূমপানে দাঁতে দাগ পড়ে এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।


সিগারেট ছাড়লে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। ধূমপান বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ঘ্রাণ ও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা ফিরে আসে, যা ধূমপান কমিয়ে দেয়।


সিগারেট ছাড়ার জন্য ধৈর্য ও মানসিক শক্তি প্রয়োজন। ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা, বিকল্প থেরাপি ব্যবহার করা এবং ধূমপানের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা কার্যকর উপায় হতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূমপান ত্যাগ করলে সুস্থ, দীর্ঘ ও ঝুঁকিমুক্ত জীবন উপভোগ করা সম্ভব।