ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু

স্থানীয় সময় রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

তিনদিনের একটি রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা নিয়ে সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তিনি আলোচনা শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


সফরের আগে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ‘হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়’, ইরানের সঙ্গে লড়াই এবং সমস্ত জিম্মিকে মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করবেন। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসার পর এটি হবে কোনও বিদেশী নেতার সাথে ট্রাম্পের প্রথম বৈঠক। তিনি বিমানে ওঠার আগে বলেন, এটি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র জোটের শক্তির প্রমাণ। 


স্থানীয় সময় রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আসন্ন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে জোটকে জোরদার এবং আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। ১৫ মাস চলা যুদ্ধের বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কৃতিত্ব দাবি করা ট্রাম্প রোববার বলেছেন, ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, ‘বিবি (বেঞ্জামিন) মঙ্গলবার আসছেন এবং মনে হয় আমাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হবে।’ 


নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি সোমবার ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা এই সপ্তাহে পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা ৪২ দিনের। চুক্তির প্রাথমিক পর্যায় আগামী মাসে শেষ হওয়ার কথা। ট্রাম্প বলেছেন, ১৫ মাসের যুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে এবং তিনি বারবার গাজা উপত্যকাকে পরিষ্কার করার পরিকল্পনার কথা বলেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার রোববার ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর ও ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানি বলেন, আমরা মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বৃদ্ধি করার এবং উপত্যকাকে বসবাসযোগ্য করে তোলার জন্য এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমিতে স্থিতিশীল করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছি। যুদ্ধবিরতির ফলে ধ্বংসস্তূপ গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, চিকিৎসা এবং অন্যান্য সাহায্যের প্রয়োজন। অন্যদিকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড