ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চুলকানি কীভাবে দূর করা সম্ভব

চুলকানি দূর করার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
  • | ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
চুলকানি কীভাবে দূর করা সম্ভব চুলকানি দূর করা সম্ভব

চুলকানি দূর করার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক হলে চুলকানি বেড়ে যায়, তাই ত্বক হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুলকানি কমে। নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল ত্বকে ময়েশ্চার বজায় রাখে, নিয়মিত লাগালে চুলকানি কমতে পারে। ঠান্ডা পানির সেঁক দিলে চুলকানির অনুভূতি কিছুটা প্রশমিত হয়। এক টুকরো বরফ কাপড়ে পেঁচিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিট লাগালে আরাম পাওয়া যায়।


বেকিং সোডা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে, এক চামচ বেকিং সোডা সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলকানির স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়। লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, এটি আক্রান্ত স্থানে লাগালে সংক্রমণ কমতে পারে, তবে বেশি সংবেদনশীল ত্বকে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুলকানি প্রশমিত করে, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল লাগালে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।


চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে ঢিলেঢালা ও সুতি পোশাক পরা উচিত, কারণ টাইট বা সিন্থেটিক কাপড় ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। সাবান ও ডিটারজেন্টে থাকা রাসায়নিক ত্বকে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই মাইল্ড ও সুগন্ধিবিহীন সাবান ব্যবহার করা ভালো। শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি, তবে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এটি ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে।


চুলকানি যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে বা ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে দাগ বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে সাধারণ চুলকানির ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো বেশ কার্যকর হতে পারে।