ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এবার মুম্বাইয়ে জিবিএস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গিলেন-বারি সিনড্রোমের প্রথম উপসর্গ হল দুর্বলতা। প্রথমে পা ক্রমে হাত, মুখের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
এবার মুম্বাইয়ে জিবিএস মুম্বাইয়ে পাওয়া গেল প্রথম রোগি।

জটিল এবং বিরল স্নায়ুরোগ গিলেন-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) পৌঁছে গেছে মুম্বাইয়ে। ভারতের বাণিজ্যনগরীতে স্নায়ুর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা। আপাতত মু্ম্বাইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে আসেন তিনি। পরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন।

 

জিবিএস আক্রান্তের হদিস সবচেয়ে বেশি মিলেছে পুণেতে। সেখানে এখন এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৩। ইতিমধ্যে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সেখানে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গিলেন-বারি সিনড্রোমের প্রথম উপসর্গ হল দুর্বলতা। প্রথমে পা দু’টো দুর্বল হয়ে যায়। ক্রমে হাত, মুখের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিছু রোগী তার পরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জিবিএস আসলে একটি বিরল ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’। এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। 


পুণে পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গিলেন-বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তদের ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, জ্বর, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই কারও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, এই সংক্রমণের ফলে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কারও কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। 


রোগীর শ্বাসযন্ত্রে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। তা থেকে নাক, গলা, মুখমণ্ডলে সংক্রমণ ঘটে। কারও ‘ফেশিয়াল প্যারালিসিস’ হয়, অনেকের আবার ‘রেসপিরেটরি প্যারালিসিস’ও দেখা দেয়। রোগীকে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত দিতে হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।


সূত্র: এএফপি


এসজেড