রাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যা আত্মার প্রশান্তি, সওয়াব অর্জন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এশার নামাজ পড়ার পর তাসবিহ-তাহলিল করা উচিত। বিশেষ করে সুভানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) এশার পর অতিরিক্ত কথা বলা বা অহেতুক সময় নষ্ট না করে শুয়ে পড়তে বলেছেন, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য জাগা সহজ হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর একটি। এটি বান্দার আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে এবং দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়। যদি তাহাজ্জুদ পড়া সম্ভব না হয়, তবে ঘুমানোর আগে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়লেও ফজিলত পাওয়া যায়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করলে রাতের সময়টি বরকতময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সূরা মূলক ও সূরা সাজদাহ পড়ার কথা হাদিসে বলা হয়েছে, যা কবরে শাস্তি থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া আয়াতুল কুরসি ও শেষ তিন কুল পড়লে আল্লাহর হিফাজত পাওয়া যায়।
ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইস্তিগফার করলে গুনাহ মাফ হয় এবং হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। রাসুল (সা.) রাতে ১০০ বার ইস্তিগফার করতেন।
নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। রাতে দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম সময়, বিশেষ করে শেষ তৃতীয়াংশে।
ঘুমানোর আগে ওজু করা সুন্নত এবং এটি শান্তিময় ঘুমের জন্য সহায়ক। এছাড়া ডান কাতে শোয়া ও ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার অভ্যাস করা উচিত, যেমন: বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহইয়া (তোমার নামে আমি মরছি এবং জীবিত হবো)।
যারা রাতে জাগতে পারে না, তারা কমপক্ষে ঘুমানোর আগে কিছু সময় আল্লাহর স্মরণে ব্যয় করলে তাও অনেক ফজিলতপূর্ণ।
thebgbd.com/NIT