ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মায়ানমারে জান্তার নির্বিচার বিমান হামলা

সাগায়াং প্রদেশে ধারাবাহিক বিমানহানায় অন্তত নারী, শিশু-সহ ১৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
মায়ানমারে জান্তার নির্বিচার বিমান হামলা হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ি।

স্থল যুদ্ধ ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে সরকারের সেনাদের জন্য। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাচ্ছে নতুন এলাকা। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমারের জান্তা সরকার নতুন রণকৌশল নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইয়াওয়াডি জানাচ্ছে, বুধবার থেকে টানা তিন রাতে সাগায়াং প্রদেশে ধারাবাহিক বিমান হামলায় নারী, শিশুসহ অন্তত ১৭ জনের নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত আরও ৩০।


মনিওয়া, চাউং-উ এবং সালিংই শহরে হামলা চালাতে জান্তার সেনা প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে বলে ওই এলাকা সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জানিয়েছে। এর আগে রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মির ঘাঁটি এবং কাচিন প্রদেশে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)-র ঘাটিতে বিমান হামলা চালানো হয়। তাতেও সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে।


কিন্তু এ বার সুনির্দিষ্ট ভাবে অসামরিক বসতি এলাকা লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ গড়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’। আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)-র পাশাপাশি সেই ত্রিদলীয় জোটের অন্যতম সহযোগী মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। 


সম্প্রতি এমএনডিএএ শান্তিচুক্তি করলেও পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হওয়া চীন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এর সশস্ত্র বাহিনী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-ও এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


সূত্র: এনডিটিভি


এসজেড