ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘চিড়া মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই, কারাগারে সুমনের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই’

বিচারকের এজলাসে ওঠার আগেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে পলক বলেন, "জেলখানার জীবন অনেক বড় শিক্ষা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
‘চিড়া মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই, কারাগারে সুমনের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই’ সংগৃহীত

"চিড়া-মুড়ি খাওয়ারও টাকা নেই, কারাগারে সুমনের সঙ্গে রুটি-কলায় ভাগ বসাতে হচ্ছে"—আদালতে হাজির হওয়ার পর নিজের বন্দিজীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পলককে হাজির করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাকে আদালতে আনা হয়।


বিচারকের এজলাসে ওঠার আগেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে পলক বলেন, "জেলখানার জীবন অনেক বড় শিক্ষা। সবাই কমপক্ষে সাত দিন কারাগারে থাকলে বুঝতে পারত, জীবন কেমন।"


তিনি আরও বলেন, "আমি যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি, তখনও বলব—এই অভিজ্ঞতা কারও মিস করা উচিত নয়!"


এ সময় পুলিশ তাকে কথা বলতে নিষেধ করলে পলক পাল্টা জবাব দেন, "আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না।"


তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, "কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। আইনজীবীরা কথা বললেই রিমান্ড বেড়ে যায়।"


পিপির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে পলক বলেন, "যাক, এবার পিপি স্যারের মন নরম হলো!"


শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।



thebgbd.com/AR