আমলার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করেন এক যুব্ক। আর তার কারণেই তাকে জামিন নিতে যেতে হল ২০০ কিলোমিটার। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম অমিত চক্রবর্তী। ঘটনা ২০২৩ সালের। আসামের নলবাড়ির এক আমলা বর্ণালী ডেকার একটি ফেসবুক পোস্টে নরেশ বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন। আর সেই মন্তব্যে হাসির ‘ইমোজি’ দেন অমিত। মন্তব্য করেন আব্দুল সুবুর চৌধুরি নামে আরও এক ব্যক্তিও। তিন জনের বিরুদ্ধেই তাকে অনুসরণ, অশ্লীল এবং আপত্তিজনক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে মামলা করেন আমলা।
কোকরাঝাড় থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ফেসবুক পোস্ট করে বর্ণালী সতর্ক করেন, তার বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। অমিতকে ট্যাগ করে আরও একটি পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে আপত্তিজনক এবং অশ্লীল মন্তব্যের অভিযোগ করা হয়েছে।’
এ বছরের জানুয়ারিতে অমিতকে থানা থেকে তলব করা হয়। অমিত বলেন, ‘এত কিছু হবে ভাবতেই পারছি না। আমার এক আইনজীবী বন্ধুর সাহায্যে পুরো ঘটনাটি জানতে পারি। একটা ইমোজির জন্য জামিন পেতে আমাকে ছুটতে হচ্ছে। আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। শুধু নরেশ বড়ুয়ার মন্তব্যে হাসির ইমোজি দিয়েছিলাম। এর থেকে বেশি কিছু মনে নেই।’ অমিত থাকেন ঢেকিয়াজুলিতে। জামিনের জন্য ২০০ কিমি পাড়ি দিয়ে কোকরাঝাড় আদালতে যেতে হয়েছে তাকে। আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।
সূত্র: পিটিআই
এসজেড