অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা- কোভিশিল্ড নেয়ার পর দেশে সীমিত পরিসরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে দেয়া হচ্ছে।
টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য-উপাত্তের ঘাটতিতে সঠিক পরিসংখ্যান আসবে না। আর, এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য বিভাগকে এগিয়ে আসার জোর দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নেয়ার পর থেকে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন বাগেরহাটে একাত্তর টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বাগেরহাটের টিকা নেয়ার এক ঘণ্টা পরই শুরু হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। প্রথমে পুরো শরীরে জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, কমে যায় হৃৎস্পন্দন।
শরীরের নানান অংশে রক্ত জমাট বাধতে শুরু করে। এর মধ্যে একাধিকার ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
অ্যাস্ট্রিজেনিকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তার প্রায় সবগুলোই আছে বিষ্ণুর শরীরে। বিশ্বব্যাপী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও বিষ্ণুর বিষয়ে কী হবে -তা জানা নেই।
ভুক্তভোগী বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, টিকা নেয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই আমার সমস্যা শুরু হয়। তবে, চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।
বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই টিকা গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ অতি নগণ্য। তারপরেও টিকা গ্রহণকারীদের দেহে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে প্রতি ৫০ হাজারে এক জনের এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর, সেগুলো দেখা যাবে টিকা গ্রহণের ৬ সপ্তাহের মধ্যে। পরিসংখ্যান খুঁজতে মাঠ পর্যায়ে আরও মনোযোগী হতে হবে বলছেন তারা।
গ্যাভির সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নতি করতে হবে। তাহলে করোনার মতো কোনো অবস্থায় মানিয়ে নেয়া যাবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশে ওই টিকার ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।