রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া বৃদ্ধি করা, আত্মবিশ্লেষণ করা এবং দুনিয়াবী ইচ্ছা ও প্রবৃত্তিগুলোর থেকে বিরত থাকা। রোজা পালনের সময় কিছু শারীরিক কাজ বা আচরণ হতে পারে, যেগুলো রোজার শর্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তবে, রোজা রেখে নখ কাটা বা অন্যান্য শারীরিক কাজ করায় কোনো সমস্যা নেই।
রোজা রাখার সময় নখ কাটা হারাম বা নিষিদ্ধ নয়। ইসলামে, শরীরের বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করার জন্য নখ কাটা, চুল কাটা বা গায়ের অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করা অনুমোদিত। রোজা ভাঙে না যদি আপনি নখ কাটেন, তবে রোজা ভেঙে না যাওয়ার জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনোভাবে ভুলবশত খাবার বা পানীয় গ্রহণ না করেন।
রোজা ভাঙার শর্তগুলো হলো:
খাওয়া ও পান করা: রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা রোজা ভেঙে দেয়। এটি শুধুমাত্র সেহরি বা ইফতার সময়েই করতে হবে।
যৌন সম্পর্ক: রোজার সময় পুরুষ বা মহিলা একে অপরের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে রোজা ভেঙে যাবে।
বিশেষ দুনিয়াবী কার্যকলাপ: কিছু বিশেষ কাজ যেমন ভুলবশত খাওয়া বা পান করা, যা আপনি জানতেও পারেন না, তা রোজা ভাঙে না যদি তা অনিচ্ছাকৃত হয়।
তবে, নখ কাটা, চুল কাটা, দাড়ি ছাঁটা, মাথায় তেল লাগানো, বা হাত-পা ধোয়া এসব কাজ রোজাকে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। এগুলো রোজার শর্তের মধ্যে পড়ে না এবং এর ফলে কোনো সমস্যা হয় না।
ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "পরিষ্কারতা ঈমানের অঙ্গ।" (মুসলিম) সুতরাং, রোজার সময় আপনি যদি নখ কাটেন বা সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে চান, তা ইসলামে প্রশংসনীয়। রোজা অবস্থায় শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা শরীরের সুস্থতা এবং মানসিক শান্তির জন্য উপকারী।
রোজা রাখার সময় নখ কাটা, চুল কাটা বা শরীরের অন্য অংশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। এটি রোজার জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, যতক্ষণ না আপনি ভুলবশত কিছু খেয়ে বা পান করে রোজা ভাঙেন। রোজা পালনের সময় শারীরিক পরিচ্ছন্নতা এবং অন্য আনুষঙ্গিক কাজগুলোও গুরুত্ব পায়, তবে রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাকওয়া বাড়ানো, যা শুধুমাত্র সেহরি এবং ইফতার সময়ের মাঝে খাবার, পানীয় এবং যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে অর্জিত হয়।
thebgbd.com/NIT