ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা জানালো ভারত

জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ভাগ করে নেয়, যা অভিন্ন স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।’
  • অনলাইন ডেস্ক | ০২ আগস্ট, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা জানালো ভারত নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভরতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অতীতে বহু রূপান্তর ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে এবং এটি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।  বলে শুক্রবার এ কথা জানান তিনি। 

এ মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন যে, তিনি মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কারণে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।

জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ভাগ করে নেয়, যা অভিন্ন স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের সম্ভাবনার কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। 

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়া একসঙ্গে তাদের মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’ তার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারতীয় রাশিয়ান তেলের ক্রয়কে ‘একটি বিরক্তির বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্যের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তৃতীয় কোনো দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যেকোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ওই দেশের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং তা অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা উচিত নয়।’

জয়সওয়াল আরও বলেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও দৃঢ় অংশীদারিত্ব রয়েছে।

তিনি জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত প্রয়োজন বিবেচনায় নেওয়া হয় এবং জ্বালানি সংগ্রহ বাজারে প্রাপ্যতা ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

সূত্র: আরটি

thebgbd.com/NIT