ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সমকামিতার শাস্তি বেত্রাঘাত!

ইন্দোনেশিয়ার এই ঘটনাকে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্যের একটি উদাহরণ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সমকামিতার শাস্তি বেত্রাঘাত! প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে।

সমকামী যৌন সম্পর্কে জড়ানোর ‘অপরাধে’ প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে দুই যুবককে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার রক্ষণশীল আচেহ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ থেকে এ খবর জানিয়েছে এএফপি। 


বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আচেহ’র রাজধানী বান্দা আচেহ’র একটি পার্কে প্রকাশ্যে দুই যুবককে বেত্রাঘাত করা হয়। দুপুর থেকে শুরু হয় বেত্রাঘাত। দু’জনের মধ্যে সমকামী সঙ্গমের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে একজনকে ৮২ বার এবং অন্যজনকে ৭৭ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। সাজা হিসেবে ৮৫ ও ৮০ বার বেত্রাঘাতের আদেশ থাকলেও, শাস্তির আগে দু’জনকে তিন মাস আটক রাখা হয়। সেই কারণে দু’জনের সাজায় তিনটি করে বেত্রাঘাত কমানো হয়েছে।


প্রকাশ্যেই বেত্রাঘাত করা হয় ওই দুই যুবককে। সে সময় সেখানে ভিড় জমান বহু মানুষ। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ইন্দোনেশিয়ার অন্য কোথাও সমকামী যৌন সম্পর্ক অবৈধ না হলেও, আচেহ প্রদেশে এটি আইনত নিষিদ্ধ। কারণ, সেখানে ইসলামের নিজস্ব শরিয়ত আইন মানা হয়। সম্প্রতি ওই দুই যুবককে সমকামী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার একটি আদালত। সেই মতো বিধি মেনেই তাদেরকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে।


সাজা পাওয়া দুই যুবকই স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত নভেম্বর মাসে বান্দা আচেহ-তে একটি ভাড়াবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়েরা। ‘অস্বাভাবিক’ যৌন সম্পর্কের অভিযোগে তাদের প্রথমে শরিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


খবর প্রকাশ্যে আসতেই অধিকার আন্দোলন কর্মীরা ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার এই ঘটনাকে ‘প্রান্তিক’ লিঙ্গ-যৌনতার অর্থাৎ এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্যের একটি উদাহরণ হিসাবে দেখছেন তারা। প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ও। সংস্থার আঞ্চলিক ডিরেক্টর মন্টসে ফেরার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ঘটনা ভয়াবহ এবং সমকামীদের প্রতি অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। পরস্পরের সম্মতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যৌন সম্পর্ককে কখনওই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না, সে জন্য কাউকে শাস্তিও দেওয়া যায় না।’


সূত্র: এএফপি


এসজেড