ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাফাহ ছেড়েছেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

  • | ১৩ মে, ২০২৪
রাফাহ ছেড়েছেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ এক সপ্তাহে রাফাহ ছেড়েছেন তিন লাখ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি বর্বরতায় গোটা গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত সাত মাসেরও বেশি ধরে চলা ইসরায়েলি নৃশংস হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে অসহায় ফিলিস্তিনিরা জড়ো হয়েছিলেন মিশর সীমান্তের কাছে রাফাহ শহরে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেও ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এ কারণে এখন রাফাহ ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে। খবর মার্কিন গণমাধ্যম এবিসির।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে গত ৭ মাস ধরে এসব মানুষ এখানে এসে আশ্রয় নেন। প্রায় ৩ লাখ মানুষ এক সপ্তাহে রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রবিবার জানিয়েছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নেন। মূলত লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা রাফাহ শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

বেসামরিক লোকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি রবিবার বলেছে, রাফাহতে পূর্ণমাত্রার হামলা হলে এখানে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হবে। সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রাফাহর পরিবারগুলো আবারও সরে যাচ্ছে, আশ্রয়, খাবার, পানির সন্ধান করছে।

গাজা উপত্যকার বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ সংস্থা প্যালটেল বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে রোববার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের কর্মীরা যুদ্ধের সময় গাজায় কাজ করছেন। এই সংস্থাটিও সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছে, রাফাহ ইন্দোনেশিয়ান ফিল্ড হাসপাতালের শেষ ২২ রোগীকে অন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে রেফার করা শুরু করেছে তারা। কারণ তারা আর তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং রাফাহ শহরের তিনটি বড় হাসপাতালের মধ্যে যে একটি হাসপাতাল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানের আগে আংশিকভাবে কাজ করছিল সেটিও ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে গত সোমবার থেকে রাফাহ ঘিরে তীব্র বোমাবর্ষণ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলছে। মূলত গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলি সেনারা তাদের অভিযানের শুরুতে মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরে তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো সাহায্যও বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তখন থেকে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছেন।