মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বৃহস্পতিবার জেফরি এপস্টাইন সম্পর্কিত কিছু নথি প্রকাশ করেছেন। যিনি যৌনতার উদ্দেশ্যে পাচার (সেক্স ট্রাফিক) ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে বিচারের আগেই তিনি আত্মহত্যা করেন। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, এই নথিগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। যদিও নথিগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও নতুন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে মনে হচ্ছে। বিভাগটি জানিয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলো আগে ফাঁস হয়।
নথিগুলোতে একটি প্রমাণ তালিকা, বিমান পরিকল্পনা ও একটি যোগাযোগ বই অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের বিচারের অংশ বলে মনে হয়। এপস্টাইনের প্রাক্তন বান্ধবী ঘিসলেইন ২০২১ সালে যৌন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং ২০২২ সাল থেকে নিউইয়র্কে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
বন্ডি বলেন, এপস্টাইনের পূর্ণাঙ্গ নথির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার বিভাগ ২০০ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে। বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পরে এপস্টাইনের তদন্ত ও অভিযোগ সম্পর্কিত হাজার হাজার পৃষ্ঠার নথি সম্পর্কে অবহিত করা হয়, যা আগে প্রকাশ করা হয়নি। ট্রাম্পের নিযুক্ত কাশ প্যাটেল পরিচালিত ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে বন্ডি অনুরোধ করেছেন যেন বাকি নথিপত্র শুক্রবার সকালের মধ্যে তার অফিসে সরবরাহ করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের ফাইন্যান্সার এপস্টাইনের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। তিনি ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ফলে তার বিচার বন্ধ হয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে প্রায় তিন দশক ধরে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সেক্স ট্রাফিক চক্র পরিচালনার অভিযোগ ছিল।
তবে, ২০২৩ সালের বিচার বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেলের প্রতিবেদনে ‘অবহেলা, অসদাচরণ ও সরাসরি কর্মক্ষমতা ব্যর্থতার সংমিশ্রণ’ পাওয়া গেছে- যা এপস্টাইনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড