ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হওয়া ও সংবেদনশীল এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১ মার্চ, ২০২৫
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হওয়া ও সংবেদনশীল এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসর (আইসিসিআর) বৃত্তির আওতায় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের একটি অঙ্গীকারপত্রে (মুচলেকা) স্বাক্ষর করতে হচ্ছে, যেখানে এসব শর্ত মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিতে বলা হয়েছে। শর্ত লঙ্ঘন করলে বৃত্তি বাতিলসহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


অটল বিহারী বাজপেয়ী জেনারেল স্কলারশিপ স্কিমের অধীনে ৬৪০ জন শিক্ষার্থীকে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য বৃত্তি দেয় আইসিসিআর। সাধারণত, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারপত্র হাইকমিশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হলেও, এবার ভর্তির পর সরাসরি শিক্ষার্থীদের সই করানো হচ্ছে।


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারপত্রে বলা হয়, ‘আমাকে ভারতের এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য আইসিসিআর ২০২৪-২৫ সালের বৃত্তি দিয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি, ভারতে থাকাকালে কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ, ভারতের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ বা অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিব্রতকর হতে পারে– এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকব না। এ ছাড়াও ভারতের কোনো সীমান্ত, নিষিদ্ধ, সুরক্ষিত বা জনজাতি এলাকা পরিদর্শন করব না। আমি এও অঙ্গীকার করছি, ওপরের শর্তগুলোর কোনো অংশ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আমাকে দেওয়া আইসিসিআর প্রদেয় বৃত্তি বাতিল করা হবে।’


তবে সূত্র জানিয়েছে, অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এমন শর্ত নেই। এমনকি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীও এ ধরনের অঙ্গীকারপত্রে সই করেননি। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।


দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে ভারতের পড়তে আসেন, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এ ধরনের একটি হলফনামা বা অঙ্গীকারপত্র জমা দিতে হয়। মূলত ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃপক্ষই সেটি সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সে দেশের রাজনৈতিক সমস্যার কারণে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ আছে। তাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেসব অঙ্গীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের মনোভাব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক বিভাজন ভারতীয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে না পড়ে। বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।



thebgbd.com/NA