ঢাকা | বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া বৈঠক

এই বিরোধ ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিতকরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে, যা মূলত ইন্দোচীনের ফরাসি দখলের সময় ঘটে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৪ জুন, ২০২৫
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া বৈঠক সীমান্ত নিয়ে দুই দশের বিরোধ বহুদিনের।

 দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধ মিমাংসার জন্য দু’দেশের কর্মকর্তারা শনিবার নমপেনে বৈঠক করেছেন। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে গত মাসে দেশ দুটি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। 


২৮শে মে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্তবর্তী পান্না ত্রিভুজ নামে পরিচিত একটি এলাকায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। ওই সংঘর্ষে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হয়। থাই ও কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনী উভয়ই বলেছে, তারা আত্মরক্ষার জন্য এ কাজ করেছে। তবে সংঘর্ষ এড়াতে তাদের সৈন্যদের পুনরায় নিজ নিজ অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।


সাম্প্রতিক দিনগুলোতে থাইল্যান্ড প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে। এদিকে কম্বোডিয়াও শুক্রবার তার সৈন্যদের থাইল্যান্ড সীমান্তে ‘পূর্ণ সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের কর্মকর্তারা বিরোধ নিরসনে সম্মত হয়েছেন। 


থাই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রসার্ট প্রসার্টভিনি চাই। অন্যদিকে কম্বোডিয়ান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সীমান্ত বিষয়ক সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী চিয়া লাম। আলোচনার আগে কোনও পক্ষই মন্তব্য করেনি। 


এই বিরোধ ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) সীমান্ত চিহ্নিতকরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে, যা মূলত ইন্দোচীনের ফরাসি দখলের সময় ঘটে। ২০০৮ সাল থেকে এই অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। 


কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট এই মাসের শুরুতে ঘোষণা করেন, কম্বোডিয়া সর্বশেষ সংঘর্ষের স্থানসহ চারটি বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-তে অভিযোগ দায়ের করবে। ২০১৩ সালে আইসিজে রায় দেয়, প্রিয়া বিহার মন্দিরের পাশের একটি বিতর্কিত এলাকা কম্বোডিয়ার। কিন্তু থাইল্যান্ড বলেছে, তারা আইসিজের রায় মেনে নেবে না।


সূত্র: এএফপি


এসজেড