ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাইলেন শাহজাদির বাবা

আবুধাবির কারাগারে বন্দি ভারতের ইউপির শাহজাদি খান। শিশু মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগে আদালত তাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে।
  • | ০২ মার্চ, ২০২৫
মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাইলেন শাহজাদির বাবা মেয়েকে ফেরত চান বাবা।

আবুধাবির জেলে বন্দি মেয়ে। শিশু মৃত্যুতে তার গাফিলতির অভিযোগে আবুধাবির আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সাজার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মেয়ের বাবা সাবির খান। এবার তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সাবিরের আবেদন, তার মেয়ের বর্তমান আইনি অবস্থা এবং সুস্থতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য যেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েকে নির্দেশ দেওয়া হয়।


শাহজাদি খান ভারতের উত্তরপ্রদেশে বান্দায় গয়রা মুলগি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে মুখ, শরীরের অংশ পুড়ে যায়। ২০২০ সালে সমাজমাধ্যমে আগরার যুবক উজেরের সঙ্গে আলাপ হয়। বিয়ে করে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই ব্যক্তি। ভাল করে রাখবেন বলেও দাবি করেন। ২০২১ সালে শাহজাদি উজেরের সঙ্গে আগরা পালিয়ে যায়। কিন্তু আগরায় এক দম্পতির কাছে শাহজাদিকে বিক্রি করে দেন উজের। ২০২১ সালে ওই দম্পতি শাহজাদিকে আবুধাবি নিয়ে যান।


আবুধাবিতে ওই দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল শাহজাদির। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালত ফাঁসির সাজা দেয়। তারপরেই মেয়েকে বাঁচাতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন সাবির। ভারত সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান। গত বছর তিনি এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপেরও আবেদন করেন।


শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভারত সরকার। আরব আমিরশাহির ভারতীয় দূতাবাস জানায়, ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে। তার পর থেকেই ৩৩ বছরের শাহজাদির ফাঁসির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এবার এই ঘটনায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন শাহজাদির বাবা।


সূত্র: পিটিআই