ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙলে যে গুনাহ হয়

ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙা একটি গুরুতর গুনাহ (পাপ) হিসেবে বিবেচিত হয় ইসলাম ধর্মে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ মার্চ, ২০২৫
ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙলে যে গুনাহ হয় ফাইল ছবি

ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙা একটি গুরুতর গুনাহ (পাপ) হিসেবে বিবেচিত হয় ইসলাম ধর্মে। রোজা রাখা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং এটি একজন মুসলমানের ইবাদতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রোজা ভাঙা, বিশেষ করে ইচ্ছাকৃতভাবে, আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা এবং তাঁর নির্দেশনার অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি ইসলামি শরিয়তে একটি বড় অপরাধ।


ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙার গুনাহ


১. আল্লাহর ফরজ বিধান অমান্য করা

রোজা ফরজ হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে তা ভাঙা আল্লাহর আদেশের প্রতি অবাধ্যতা। আল্লাহ বলেন, "তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনটি পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।" (সূরা বাকারা, ২:১৮3)


রোজা রাখা আল্লাহর নির্দেশ এবং তার প্রতি অবাধ্য হওয়া একটি বড় গুনাহ।


শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করা


রোজা ভাঙা শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান লঙ্ঘন, এবং এটি ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান ও বিধির প্রতি অবজ্ঞা। একজন মুসলমানের জন্য রোজা ভাঙা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় চর্চা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদত।


বিশেষ শাস্তির সম্মুখীন হওয়া


ইসলাম অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙেন, তাহলে তার ওপর কাফফারা এবং কাযা আদায় করার দায়িত্ব বর্তায়। এই কাফফারা হচ্ছে ৬০ দিন রোজা রাখা বা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো, যা এক প্রকার শাস্তি।


দুনিয়াতে ও আখিরাতে শাস্তি


আল্লাহ বলেন, "যারা আমার ইবাদত ও বিধান অমান্য করে, তারা জানবে একদিন আমি তাদের জন্য বড় শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।" (সূরা আল-ইমরান, ৩: ১৫)


ইসলাম অনুযায়ী, রোজা ভাঙার কারণে শুধুমাত্র কাফফারা নয়, আখিরাতে আরও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে যদি আল্লাহ তা মাফ না করেন।


রোজা ভাঙার শাস্তি এবং কাফফারা


যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলেন, তবে তাকে কাফফারা (৬০ দিন রোজা রাখা বা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো) এবং কাযা (রোজা পরে পুনরায় আদায়) করতে হবে।


এছাড়া, ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙা একটি বড় গুনাহ হিসেবে গণ্য হওয়ায়, মুসলমানদের উচিত, রোজা রাখার গুরুত্ব এবং তা ভাঙার শাস্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সতর্কভাবে রোজা রাখা।


thebgbd.com/NIT