আবারও গ্রিনল্যান্ড ‘দখলের’ কথা বললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এটা হবেই।’ তবে সরাসরি গ্রিনল্যান্ড দখলের কথা বলেননি তিনি। বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দ্বীপকে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে জয়ী হয়েছে ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোতক্রেটিক পার্টি। ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগেডে। ট্রাম্পের সমালোচনা করে এক্স (টুইটার)-এ তিনি লেখেন, ‘অনেক হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সচিব মার্ক রুটকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সেখানেই গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার কথা জানান তিনি। মার্কের ভূমিকাও সেখানে ‘ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ’ হতে পারে বলে জানান তিনি। নিজের পুরনো অবস্থানে অনড় ট্রাম্প জানান, ‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থেই’ গ্রিনল্যান্ড নিয়ে তার এই ভাবনা।
নিজের বক্তব্যে অবশ্য গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করেননি ন্যাটো সচিব। শুধু জানিয়েছেন, মেরু অঞ্চলে ক্রমশ প্রভাব বৃদ্ধি করছে চীন ও রাশিয়া। একই সঙ্গে তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি ন্যাটোকে ‘টেনে আনতে’ চান না।
১০ মার্চ আবারও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, গ্রিনল্যান্ডে কোটি কোটি অর্থ বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। তারপরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চান ট্রাম্প। কিন্তু ‘স্বশাসিত’ দ্বীপটির উপর ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কয়েক মাস আগে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অপরিহার্য।’ সেই কথা উড়িয়ে দেয় ডেনমার্ক। কিন্তু এরপর সরাসরি বলপ্রয়োগের কথা বলেন আসে হোয়াইট হাউসের নতুন মালিক।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড