দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন তিনি টেসলার একটি গাড়ি কিনবেন। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থার মালিক ইলন মাস্কের প্রতি সমর্থন জানাতেই তার ওই ঘোষণা। কিন্তু ঘটনাচক্রে ওই দিনই ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখে টেসলা। একাধিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্কের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে চিন্তিত টেসলা। সেই নিয়েই চিঠি দেয় তারা।
টেসলার তরফে মার্কিন বাণিজ্যসচিবকে সম্বোধন করা একটি স্বাক্ষরবিহীন চিঠির কথা জানা যাচ্ছে। সেখানে ইলনের সংস্থা বলেছে, তারা ন্যায্য বাণিজ্য নীতির সমর্থক। কিন্তু একটি বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সেটা হল, অন্যান্য দেশ মার্কিন শুল্কের ‘প্রতিশোধ’ নিলে দেশের রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
চলতি বছরের শুরু থেকে টেসলার শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ কমেছে। দাম কমার কারণ হিসাবে টেসলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং গত বছর বিক্রি কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। তবে চিঠিতে টেসলা জানিয়েছে, গাড়ি এবং ব্যাটারির জন্য স্থানীয় সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ে কিছু বদল আনছে। বিদেশের বাজারের উপর নির্ভরতা যাতে কমে, সেটাই লক্ষ্য। কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা থাকছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীন থেকে সব আমদানিতে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। বেইজিংও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পর চীন টেসলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ট্রাম্প। তাতে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন মাস্ক। দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) নামে নতুন একটি বিভাগের দায়িত্বও মাস্ককে দেওয়া হয়। যে বিভাগের মাধ্যমে সরকারের ব্যয় হ্রাস এবং কর্মী সংকোচনের লক্ষ্য নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অন্য দিকে, মাস্কের সমর্থনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাম কট্টরপন্থি উন্মাদেরা’ টেসলা বর্জনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু মাস্কের প্রতি তার আস্থা এবং পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তার কাছে টেসলার কর্ণধার ‘মহান আমেরিকান’। সে জন্য তিনি টেসলার গাড়িও কিনেছেন। যদিও টেসলার ওই চিঠি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন কি না, তা জানা যায়নি।
সূত্র: স্কাই নিউজ
এসজেড