রাজধানীসহ সারাদেশে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত কয়েকদিনে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হাসপাতালগুলো।
ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু না হলেও এবার বেশ আগেভাগেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দ্বিগুণ।
২০২৩ সালের প্রথম চার মাস অর্থাৎ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আর এবার মারা গেছেন ২৪ জন।
সর্বশেষ রোববার সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় আছেন ১২ রোগী।
আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন ২৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত চট্টগ্রামে, ১৪ জন।
এ বছর ১৩ মে পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৯৬ জন। আর মারা গেছেন ২৯ জন। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণ বেড়েছে।
গত বছর প্রথম তিন মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ৮৪৩ জন৷ এবার প্রথম তিন মাসেই ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭০৫ জন।
২০২৩ সালে দেশের ২৪ বছরের ডেঙ্গুর ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে যায়। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ইতিমধ্যে ঢাকা ও বাইরের জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর শনাক্তের কীট, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইনজেকশন স্যালাইন আমদানিকারক ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সম্ভাব্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতাল এক কর্মকর্তা বলছেন, এই হাসপাতালে প্রায় এক হাজার সাধারণ বেড ও দুই শতাধিক এইচডিইউ ও আইসিইউ রয়েছে।
ডেঙ্গুর জন্য ডেডিকেটেড এই হাসপাতালে এবারই প্রথম এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।