ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আপাতত সেনা অভিযান নয়

বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি গত এক সপ্তাহে তিনটি বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ওই প্রদেশে। তার মধ্যে রয়েছে ট্রেন ছিনতাইও!
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৭ মার্চ, ২০২৫
আপাতত সেনা অভিযান নয় শেহবাজ শরীফ

পর পর হামলার ঘটনা সত্ত্বেও বেলুচ জঙ্গিদের দমন করতে আপাপত ‘বড় মাপের সেনা অভিযান’ করবে না প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পাকিস্তান সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ কথা জানিয়েছেন শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগ বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা রানা সানাউল্লা।


সানাউল্লা বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেলুচ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান যেমন চলছে, সে ভাবেই চলবে। কিন্তু এই মুহূর্তে বেলুচিস্তান জুড়ে পূর্ণাঙ্গ সেনা অভিযানের কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করছি না।’ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লার পরিচিতি ‘প্রধানমন্ত্রী শরিফের ঘনিষ্ঠতম নেতা’ হিসাবে। তার মন্তব্য তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।


আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আর এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী তহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের সেনা অভিযান শুরু হয়েছে। যার ফলে ইসলামাবাদের বিরোধ চলছে কাবুলের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে শরিফ সরকার একসঙ্গে দু’টি পৃথক লড়াইয়ে জড়াতে চাইছে না বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 


এক সপ্তাহের মধ্যে বেলুচিস্তানে তিনটি বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাচ্চি বোলানে ট্রেন ছিনতাই, কোয়েটায় আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ, নোশকিকে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা রয়েছে এই তালিকায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। 


চলতি মাসের গোড়াতেই অন্য দুই সশস্ত্র বেলুচ গোষ্ঠী, বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) ও বেলুচ রিপাবলিকান গার্ডস (বিআরজি) এবং সিন্ধুপ্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন ‘সিন্ধুদেশ রেভলিউশনারি আর্মি’র (এসআরএ) সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন যৌথবাহিনী গড়েছে বিএলএ। সানাউল্লার অভিযোগ, ভারতের তৎপরতাতেই একজোট হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি।


সূত্র: ডন


এসজেড