শিশুর অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সময় অভিভাবকদের কিছু সাধারণ ভুলের কারণে শিশুর ওজন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়।
১. বেশি প্রসেসড ও ফাস্ট ফুড খাওয়ানো
প্যাকেটজাত খাবার, চিপস, বার্গার, পিজ্জা, চকলেট ও কোল্ড ড্রিংকস বেশি খাওয়ালে শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে পারে।
এসব খাবারে চিনি, চর্বি ও ক্যালোরি বেশি থাকে।
২. শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
শিশুদের দীর্ঘসময় মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটার স্ক্রিনে আসক্ত রাখা হলে তারা কম নড়াচড়া করে।
নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়ামের অভাবে ক্যালোরি পুড়তে পারে না, ফলে ওজন বাড়ে।
৩. অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনে খাওয়ানো
অনেক অভিভাবক শিশু একটু খেলেই বা অল্প ক্ষুধার্ত হলেই বেশি খেতে দেন।
বারবার খাবার খাওয়ানো ও ভুল সময়ে স্ন্যাকস দেওয়া ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৪. চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি দেওয়া
অতিরিক্ত মিষ্টি, আইসক্রিম, কেক, বিস্কুট, ক্যান্ডি ও মিষ্টি পানীয় শিশুর মেটাবলিজম ধীর করে ও ফ্যাট জমায়।
৫. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
কম ঘুম শিশুদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়।
৬. পরিবারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
শিশুরা যা দেখে, সেটাই শেখে। অভিভাবকরা যদি ফাস্ট ফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান, তবে শিশুরাও সেই অভ্যাস গড়ে তোলে।
৭. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ানো
পানি কম খেলে ক্ষুধা বেশি লাগে, ফলে শিশু বারবার অপ্রয়োজনীয় খাবার খেতে পারে।
এই ভুলগুলো এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক কার্যকলাপ নিশ্চিত করলে শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।