ইসলামে হালাল ও হারাম খাবারের বিধান স্পষ্টভাবে কুরআন ও হাদিস দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে, তবে সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে ঘোড়ার মাংস হালাল।
হাদিসের আলোকে ঘোড়ার মাংস
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময় সাহাবিরা ঘোড়ার মাংস খেয়েছেন, যা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
১. সাহিহ বুখারি ও মুসলিম: জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, “আমরা খায়বারের যুদ্ধে ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।” (বুখারি: ৪২১৯, মুসলিম: ১৯৪২)
২. সাহিহ মুসলিম: আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) বলেন, “রাসূল (সা.)-এর সময় আমরা ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।” (মুসলিম: ১৯৪১)
এই হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট যে, ইসলামে ঘোড়ার মাংস হালাল এবং নবী (সা.) এর অনুমতি দিয়েছেন।
ফিকহবিদদের মতামত
হানাফি মাজহাব: ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ (অপছন্দনীয়) তবে হারাম নয়।
মালিকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাব: ঘোড়ার মাংস সম্পূর্ণ হালাল।
কেন কিছু আলেম একে মাকরুহ মনে করেন?
হানাফি মাজহাবের মতে, ঘোড়া একটি সম্মানিত প্রাণী এবং যুদ্ধ ও বাহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই তাদের দৃষ্টিতে এটি খাওয়া বাঞ্ছনীয় নয় (মাকরুহ)। তবে একে হারাম বলা হয়নি।
কোন কোন প্রাণীর মাংস হারাম?
কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী নিম্নলিখিত প্রাণীগুলোর মাংস হারাম:
শূকর – (সূরা আল-মায়েদা: ৩)
গাধা – রাসূল (সা.) বলেছেন: “গৃহপালিত গাধার মাংস হারাম।” (বুখারি: ৪২১৮)
বেঙ্গাল বাঘ, সিংহ, কুকুর, বিড়াল – হাদিস অনুযায়ী যেসব প্রাণী হিংস্র বা নখরওয়ালা শিকারি, সেগুলো হারাম।
ঘোড়ার মাংস খাওয়া ইসলামে হালাল, তবে হানাফি মাজহাব এটি খাওয়াকে অপছন্দ করে। তাই কেউ চাইলে খেতে পারে, এতে কোনো গুনাহ হবে না।
thebgbd.com/NA