ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিলেন ট্রাম্প!

ট্রাম্পের এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার ফলে শিক্ষা খাতে আর কোনও ব্যয় বরাদ্দ করবে না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২১ মার্চ, ২০২৫
শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিলেন ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ঘোষণা হয়েছে আগেই, বৃহস্পতিবার আদেশনামায় স্বাক্ষরিত হয়ে তা কার্যকরও হয়ে গেলো। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই! এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার ফলে শিক্ষা খাতে আর কোনও ব্যয় বরাদ্দ করবে না মার্কিন প্রশাসন। এর ফলে সরকারি অনুদানের উপর নির্ভরশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিপদে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।


পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রদেশগুলির উপরে। স্থানীয় প্রশাসনই এ বার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামাবে। ১৯৭৯ সালে মার্কিন শিক্ষা দপ্তরকে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাহি আদেশে সাক্ষর করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটা (শিক্ষা দপ্তর) বন্ধ করতে চলেছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা হবে। এই দপ্তর রেখে ভাল কিছু হচ্ছিল না।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তিনি তুলে দিচ্ছেন প্রদেশগুলির হাতে।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, মার্কিন কংগ্রেস বা আইনসভার অনুমতি ব্যতীত কোনও প্রশাসনিক দপ্তর খোলা বা বন্ধ করা যায় না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আদেশনামায় স্বাক্ষর করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের বেতন এবং অন্য ব্যয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন এই দপ্তরে ৪২০০ জনেরও বেশি কাজ করতেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি এই দপ্তরের জন্য ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ হয়। সে বরাদ্দও বন্ধ হতে চলেছে।


দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই প্রশাসনিক ব্যয়ে লাগাম পরানোর কথা জানান ট্রাম্প। সেই পরিকল্পনারই অংশ শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেওয়া। নির্বাচনী প্রচারেও এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে জানান, দ্রুত তিনি এই কাজ সারতে চান। কিছু সংবাদমাধ্যম অনুসারে, প্রথমবারই শিক্ষা দপ্তর বন্ধ চেয়েছিলেন কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় সে বার এই কাজ করতে পারেননি তিনি।


সূত্র: রয়টার্স


এসজেড