যুদ্ধকালীন একটি অস্পষ্ট আইন ব্যবহার করে অবৈধ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বহিষ্কারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নিম্ন আদালতের একটি আদেশ সোমবার প্রত্যাহার করেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহারে বাধা নেই। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
তবে দেশটির শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, ১৭৯৮ সালের এলিয়েন শত্রু আইনের অধীনে নির্বাসনের আওতায় থাকা অভিবাসীদের তাদের বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দিতে হবে। কনজার্ভেটিভ নিয়ন্ত্রিত সুপ্রিম কোর্টের ৫-৪ ভোটের এই রায়ের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন আপাতত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। যার ওপর একজন ফেডারেল জেলা বিচারক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
অভিযুক্ত ভেনেজুয়েলার গ্যাং সদস্যদের আটক করতে ট্রাম্প এলিয়েন শত্রু আইন ব্যবহার করেন। যা পূর্বে যুদ্ধকালীন সময়ে ব্যবহৃত হয়। বহিষ্কৃতদের পক্ষের বেশ কয়েকজন ভেনেজুয়েলার আইনজীবী বলেছেন, তাদের মক্কেলরা ভেনেজুয়েলার গ্যাং ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্য ছিলেন না। তারা কোনও অপরাধ করেননি এবং তাদের ট্যাটুর কারণেই মূলত তাদের নির্বাসন দেয়া হয়েছে।
লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারণা চালানো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এর একটি পোস্টে শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘একজন প্রেসিডেন্ট, যেই হোক না কেন, তাকে আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের পরিবার এবং আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করতে সক্ষম করে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দেশে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছে’।
তিনি একে ‘ন্যায়বিচারের জন্য একটি মহান দিন’ বলে উল্লেখ করেন। ১৫ মার্চ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বিমানে করে এল সালভাদরে পাঠানোর পর জেলা বিচারক জেমস বোসবার্গ এলিয়েন শত্রু আইনের এর অধীনে বহিষ্কৃতদের আরো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড