ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিমসটেক অঞ্চলে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর কৃষি উপদেষ্টার

বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯ এপ্রিল, ২০২৫
বিমসটেক অঞ্চলে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর কৃষি উপদেষ্টার ছবি : সংগৃহীত

বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। বুধবার (৯ এপ্রিল) নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বিমসটেক কৃষি মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


সভায় সভাপতিত্ব করেন নেপালের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রামনাথ অধিকারী। সদস্য দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরাও এতে অংশ নেন।


উপদেষ্টা বলেন, “দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থার উদ্দেশ্য পূরণে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, “খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করার বিপুল সুযোগ রয়েছে।”


কৃষি, পশু ও মৎস্য খাতকে কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এসব খাত জলবায়ু পরিবর্তন, বণ্টন বৈষম্য ও বাণিজ্য ঘাটতির মতো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলেও জানান। এ থেকে উত্তরণে সমন্বয়, গবেষণা ও টেকসই সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।


তিনি বঙ্গোপসাগরকে এ অঞ্চলের মৎস্য সম্পদের প্রধান উৎস হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এটি কোটি মানুষের জীবিকা, অর্থনীতি ও প্রোটিন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।” এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।


উপদেষ্টা জানান, বিমসটেক অঞ্চলে প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ বসবাস করে, যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করে একটি বিমসটেক খাদ্য রিজার্ভ গঠনের আহ্বান জানান তিনি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সামনে থেকে কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানান।


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে গবেষণায় বিনিয়োগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।” এ বিষয়ে একটি স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেন তিনি।


সবশেষে কৃষি পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


Thebgbd.com/NA