ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাজা-বেনেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো জিম্বাবুয়ে

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বেনেট
  • | ১২ মে, ২০২৪
রাজা-বেনেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো জিম্বাবুয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বেনেট

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বেনেট। তিনি ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলের হাল ধরে রাখেন সিকান্দার রাজা। এক প্রান্ত আগলে রেখে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তার ৭২ রানে ভর করে ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে


রোববার (১২ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে জিম্বাবুয়ে ৯ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ১৫৮ রান তুলে নেয়।


লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ের জবাবটা ছিল দারুণ। ৪ ওভারেই বিনা উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলে নেয় অতিথিরা। যে কৃতিত্ব যায় বেনেটের দখলে। শুরুর ১৮ বলে ৩৬ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই সাকিব তুলে নেন মারুমানির উইকেট।


এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অতিথিরা। সিকান্দার রাজা ও বেনেট পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বোলারদের কড়া শাসন করেন। বেনেট ১৩তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে পেয়ে যান ফিফটির স্বাদ। সাইফ উদ্দিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফেরান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে। ৪৯ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করেন বেনেট।


অন্য পাশে মোস্তাফিজকে পুল করে চার মেরে ৪১ বলে রাজা তুলে নেন ফিফটি। যা তার ক্যারিয়ারের ১৪তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। পরের ওভারে সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ারে মিড উইকেট দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ছক্কা তুলে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দুই বলে আসে আরো ১০ রান। তাতে জয়ের লক্ষ্য চলে আসে সিঙ্গেল ডিজিটে।

 

মাহেদীর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় অতিথিরা। ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান কেরন রাজা। পুরো সিরিজে নিষ্প্রভ থাকলেও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেন তিনি।


এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। তানজিদ হাসান শুরুতে মুজারাবানির শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। এরপর স্পিনার বেনেটের পর পর দুই ওভারে সৌম্য ও তাওহীদ উইকেট বিলিয়ে আসেন।


প্রবল চাপে পড়া বাংলাদেশকে ওই অবস্থান থেকে টেনে তোলার কাজটা করেন মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৬৯ রান যোগ করেন তারা। দুজনের জুটির ফিফটি চলে আসে ৩২ বলে। ২৮ বলে ৩৬ রান করে শান্ত মাসাদাকজার বলে আউট হন। ৫ চার ও ১ ছক্কা শান্ত ইনিংসটি সাজান।


সঙ্গী হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর রানের গতিও কিছুটা কমে আসে। শেষমেশ ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে ডিপ কাভারে ক্যাচ দেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ সাজান নিজের ইনিংস। মাঝে সাকিব নেমে ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন। আগের ম্যাচে ১ রানে তার ইনিংস থামলেও আজ ১৭ বলে ২১ রান করেন ১ ছক্কায়।